গাংনীর তেরাইল কলেজ পেল বঙ্গবন্ধুর নাম
এম চোখ ডট কম, গাংনী:
গাংনীর তেরাইল জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজ ফিরে পেয়েছে তার প্রতিষ্ঠাকালীন নাম। এখন থেকে ‘‘বঙ্গবন্ধু কলেজ’’ নামে হিসেবে অভিহিত হবে। এই কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন এই নামটি নানা কারণে পরিবর্তন করা হয়েছিল।
জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এ নামটি অনুমোদন দিয়েছে। ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাগুরা হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে জেলা প্রশাসক, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও কলেজ অধ্যক্ষের কাছে অনুমোদন সংক্রান্ত পত্র প্রদান করা হয়েছে।
মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন ও অধ্যক্ষ মাসুম-উল-হক মিন্টুর অক্লান্ত পরিশ্রমে অবশেষে প্রতিষ্ঠাকালীন নামটি ফেরত পায় এ কলেজটি।
২০০০ সালে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে বঙ্গবন্ধুর নামে তেরাইল গ্রামে এ কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। গাংনী শহর ও বামন্দী বাণিজ্যিক এলাকার মাঝখানে গ্রাম পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজটি অনেক চড়াই উৎরাই পার করে এমপিভুক্ত হয়। গ্রামের ছেলেমেয়েদের লেখাপাড়া করার সুযোগ সৃষ্টি করা কলেজটি ফলাফলে বিভিন্ন সময়ে সুনাম অর্জন করে।
কলেজ গর্ভনিং কমিটির সাবেক সভাপতি মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্যদের ডিওতে গেল ফেব্রæয়ারী মাসে কলেজটির প্রতিষ্ঠাকালীন নাম বঙ্গবন্ধু কলেজ নামের অনুমোদনের জন্য জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টে আবেদন করেন অধ্যক্ষ মাসুম-উল-হক মিন্টু। যার প্রেক্ষিতে ট্রাস্ট থেকে বঙ্গবন্ধুর নামে কলেকটির নামকরণ অভিহিত করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
কলেজ অধ্যক্ষের ফেসবুকে কলেজ সম্পর্কে দেওয়া একটি পোস্ট হবুহু তুলে ধরা হলো-
কুষ্টিয়া মেহেরপুর মহাসড়কের গাঁ ঘেঁষে সবুজ বেষ্টনীর মধ্যে গড়ে উঠেছে এই মহাবিদ্যালয়। যাঁর শিশুকাল অতিক্রম করতে খুব বেশি সময় লাগেনি।
২০০০ সালে কলেজটি বঙ্গবন্ধু কলেজ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ২০০৪ সালে তেরাইল জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজ নামে এম পিও ভুক্তি লাভ করে। ২০০৬ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয়ে স্নাতক ( বিএ, বিবিএস) কোর্স চালুর মধ্যে দিয়ে ডিগ্রি কলেজে পরিগণিত হয়।
২০০৭ সালে কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের অধিনে দুইটা ট্রেড নিয়ে বি এম শাখা চালু করা হয়, ২০১৩ সালে আরো একটি ট্রেড অনুমোদনের মধ্যো দিয়ে তিনটা ট্রেড নিয়ে এইচ এস সি বি এম শাখা অনুমোদন হয়ে স্ব গৌরবে পথ চলে যাচ্ছে।
২০২১ সালে কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক এইচ এস সি (বিএমটি) পরীক্ষার কেন্দ্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।
ইতোমধ্যেই মাদার বিল্ডিং (পুরাতন ভবন) বাদে দুইটা নতুন ভবন প্রতিষ্ঠা হয়েছে, আরো একটি নতুন ভবন অনুমোদন হয়েছে, দৃষ্টিনন্দন প্রবেশ দ্বার, বাউন্ডারি ওয়াল, আর সি সি রাস্তার ঢালাই সহ নির্মাণাধীন বা কাজ চলমান ।
এই বিষদ উন্নয়ন জন্য যে মানুষ টার প্রতি চরমভাবে কৃতজ্ঞ মেহেরপুর -২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন এম পি। কলেজ পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ।
তাঁর জন্য শুভ কামনা অবিরত এবং আগামী চলার পথ সুন্দর ও সফল হোক।
তাছাড়াও প্রয়াত অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা সাহেব সহ প্রতিষ্ঠাকালিন শিক্ষকগণ ও এলাকাবাসীর ভূমিকার কথা কলেজ পরিবার হয়তো মনে রাখবে অনেক দিন।