এম চোখ ডট কম, আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ায় বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের বড় বাজার রয়েছে। রাশিয়ার বাজার একটি নতুন বড় বাজার হিসেবে বিবেচিত। অপরদিকে রাশিয়া থেকে খাদ্যপণ্য ও সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করে থাকে বাংলাদেশ। রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতিতে বাংলাদের উপর কি প্রভাব পড়বে ? এ আলোচনা এখন দেশের মানুষের মাঝে।
রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি:
বাংলাদেশ রপ্তানি ব্যুরোর তথ্যমতে, চলতি অর্থ বছরে রাশিয়া তেকে ৪৬ কোটি ৬৭ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগ হচ্ছে খাদ্যপণ্য। পাশাপাশি ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে তৈরী পোশাকের পরিমাণ বেশি। রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে প্রভাব পড়বে কি না তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহলে।
আরও পড়ুন ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নেপথ্য
রাশিয়া থেকে গম আমদানি:
বাংলাদেশের চাহিদার এক তৃতীয়াংশ গম আমাদানি করা হয় রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। এছাড়াও ভুট্টার চাহিদার একটি অংশও এ দুই দেশ থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। চলমান আমদানি রপ্তানি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও এখন কি পরিস্থিতি হবে তা নিয়ে শংকা দেখা দিয়েছে।
তেলের বাজারে প্রভাব:
ইউক্রেন অভিযানের পর থেকেই রাশিয়ার উপর জাপান ও পশ্চিমা দেশগুলো বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এসব নিষেধাজ্ঞা এবং যুদ্ধের কারনে পণ্যবাহী জাহাজগুলো কৃষ্ণসাগরে যেতে ভয় পাচ্ছে। ফলে জ¦ালানি তেলের দর বেড়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে প্রাকৃতিক গ্যাসের অন্যতম রপ্তানিকারক হচ্ছে রাশিয়া। যুদ্ধ চলমান থাকায় এ গ্যাস রপ্তানি বন্ধ হয়ে পড়তে পারে। এতে বিশ^বাজারে গ্যাসের দরও বৃদ্ধি পেতে পারে। জ¦ালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের দর বৃদ্ধি হলে এর বিরুপ প্রভাব পড়বে দেশের সব পণ্যের উপরে।
রুপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র :
বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক সব সময়ই ঘনিষ্ট। পদ্মসেতু নিয়ে বিশ^ব্যাংকের বাড়াবাড়ির সময় রাশিয়া বাংলাদেশের প্রতি অনুষ্ঠ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। মূলত স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকেই রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। রুপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ প্রকল্পের মতো বড় বড় প্রকল্পে রাশিয়ার অর্থ ও প্রযুক্তি সহযোগিতা রয়েছে। তবে এ যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের প্রকল্পে কোন প্রভাব পড়বে না। তবে সারা বিশে^ই অর্থনৈতিক একটি প্রভাব পড়বে। যার আচ লাগবে বাংলাদেশেও এমন মন্তব্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে প্রভাব তেমন প্রভাব না পড়লেও বিশ্ব দরবার পরিস্থিতিতে পণ্যের দর বেড়ে যেতে পারে। তবে সরকারের তরফ থেকে এই পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রস্তুতি রয়েছে। বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ। এমন তথ্য পাওয়া গেছে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে।