মেহেরপুর প্রতিনিধি ॥ মেহেরপুর সদর উপজেলা কালিগাংনী গ্রামের পলাতাক আসামী আঃ রশিদ এর ১৪ বছর পর ধর্ষণ মামলার আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। রবিরার দুপুরে নারী ও২০০৬ সালে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানাযায়, সাজাপ্রাপ্ত আঃ রশিদ ৫ আগষ্ট ২০০২ সালে সকাল ৮ টার দিকে মেহেরপুরের উত্তর শালিকা ভবানিপাড়া, বর্তমান কালিগাংনী গ্রামের ১০ বছরের নাবালিকা মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিজের বাড়ীতে ডেকে নেয়। পরে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। বিষয়টি মেয়েটি গোপন রাখলেও রাত্রী বেলায় মেয়েটির রক্ত ক্ষরণ হতে দেখে তার মা তাকে জিজ্ঞাসা করে। মেয়েটি তার মা বাবাকে ঘটনা খুলে বলে। ঘটনাটি দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে নারী নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় আঃ রশিদকে আসামী করে মেহেরপুর থানায় একটি মামলা করে। যাহা এজাহার হিসেবে গন্য করে তৎকালীন মেহেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল কবীর চৌধুরী ৬ আগষ্ট ২০০২ তে নিয়মিত মামলা রুজু করেন। মেহেরপুর থানার মামলা নং ০৬/১৫৮ জি আর ১৫৮/২০০২।
মেহেরপুর থানার তৎকালীন এস আই মোজাহারুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করে আসামীর বিরুদ্ধে ৪ অক্টোবর ২০০২ একই ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি পরবর্তিতে নাঃ শিঃ ৬৪/২০০২ হিসাবে নিবন্ধিত হয়।
মামলায় মোট ৬ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করে আসামি দোষী প্রমাণিত হলে তৎকালীন নারী ও শিশু নির্যাতন দমণ, বিশেষ ট্রাইবুনাল মেহেরপুর আসামী আঃ রশিদকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারভোগের আদেশ দেন।
৮ মার্চ ২০০৬ এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইবুনাল এর তৎকালীন বিজ্ঞ বিচারক মোঃ আব্দুল হামিদ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমণ, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, মেহেরপুর।
রায় ঘোষণার সময় আসামী পলাতক ছিলো। দীর্ঘদিন পলাতক থেকে (১৩ ফেব্রুয়ারী) রোববার বিজ্ঞ ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পণ করে। পরে সাজাপ্রাপ্ত আসামী আঃ রশিদকে পুলিশ প্রহরায় মেহেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মেহেরপুরে ২০ বছর পর ধর্ষণ মামলার আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড
341